বাংলাদেশ ক্রিকেট সাকিবের জন্য ১০০ কোটি টাকা হাতছাড়া করবে না বিসিবি
বিসিবির ফান্ড চলতি বছরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছর নতুন করে স্পন্সরশিপ বিক্রি করতে হবে। কিন্তু কোম্পানিগুলো তাদের লাভের কথা চিন্তা করে একই ধরনের কোনো কোম্পানি অন্য খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তি বদ্ধ থাকলে আর বোর্ডের সাথে চুক্তিতে আসে না। তাই সাকিব গ্রামীণফোনের সাথে জুটি বাঁধায় রবি, বাংলালিংকসহ অন্যান্য কোম্পানিগুলো বিসিবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বিসিবির ফান্ড এই বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনের বছর তো আমাদের টিম স্পন্সরশিপ বিক্রি করতে হবে। স্পন্সরশিপে আমাদের সবচেয়ে বেশি অর্থ দিতে পারে টেলিকম কোম্পানিগুলো, গ্রামীণফোন, রবি এগুলো। গতবার আমরা রবিকে নিয়েছিলাম বছরে ২০ কোটি টাকা করে। গ্রামীণফোন কিন্তু ওখানে দরপত্রই তুলতে আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রবির সাথে চুক্তিতে ছিল ক্রিকেটাররা অন্য কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের এক খেলোয়াড়ের সাথে আবার গ্রামীণফোন চুক্তি করল। রবির সাথে কথা ছিল, খেলোয়াড়রা বছরে অন্তত একবার তাদের জন্য বিজ্ঞাপন করবে। কিন্তু এই খেলোয়াড়রা কেউ রবিতে যেতে চায়নি। তখন রবি চুক্তিই বাতিল করল।’
কেন টেলিকম কোম্পানিগুলোর সাথে খেলোয়াড়দের চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেই বিষয়টি খোলসা করেছেন, ‘এরপর অনেক ভেবেচিন্তে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, কোনো টেলিকমের সাথে আমাদের ক্রিকেটাররা চুক্তি করতে পারবে না। অন্যদের সাথে করতেও আমাদের অনুমতি নিতে হবে। লিখিত ও স্বাক্ষর করা নির্দেশনা ছিল। তখন ক্রিকেটারদের যা ক্ষতি হয়েছে আমরা তাদের টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। আবার কোম্পানিগুলোকেও বলেছিলাম, আমাদের অনুমতি না নিয়ে যেন কোনো খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তি না করে।’
রবির সাথে গতবার সর্বোচ্চ ৯০ কোটি টাকা পর্যন্ত উঠেছিল বিসিবির চুক্তি। এবার যেকোনো টেলিকমের সাথে ন্যূনতম ১০০ কোটি টাকার চুক্তি করার লক্ষ্য বোর্ডের। কিন্তু সাকিবের এই চুক্তি সেখানে বাঁধসেধেছে। তাই বলে একটা ক্রিকেটারের ৩-৪ কোটি টাকার জন্য বোর্ড ১০০ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে না বলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি পাপন।
সাকিবের নিয়মভঙ্গ, কী বলছেন বোর্ডের সিইও
বোর্ড সভাপতির ভাষায়, ‘এর কারণটা ছিল, সামনের বছরই আমরা যে স্পন্সরশিপ বিক্রি করব সেখানে যেন সবগুলো টেলিকম কোম্পানি যোগ দেয়। কিন্তু এখন কি আর কেউ আসবে? সাকিব নাহয় ২-৩ কোটি টাকা পেয়ে গেল। কিন্তু আমরা তো টিম স্পন্সরশিপে ১০০ কোটি টাকা পেতাম। এতে একটা খেলোয়াড়ের জন্য, বোর্ড এ অন্য খেলোয়াড়দেরও তো ক্ষতি হলো। এই চুক্তি সে কোনোরকমেই আইনতভাবে করতে পারে না। এগুলো তো ছেড়ে দেয়া ঠিক না। আমরা কেন ১০০ কোটি টাকা হারাব ওর (সাকিবের) জন্য! ও যদি ১০০ কোটি পেত তাও বুঝতাম। ও নিয়েছে মাত্র ৩ কোটি আর বোর্ডের ক্ষতি করাচ্ছে ১০০ কোটি। এটা তো মানা যায় না।
Post a Comment